
মেয়েদের অন্তর্বাস বা পেন্টি পরার ক্ষেত্রে কিছু সাধারণ নিয়ম বা টিপস আছে, যা আরামদায়ক এবং স্বাস্থ্যকর। সঠিক অন্তর্বাস পরা শরীরের স্বাস্থ্য ও আরামের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নিচে কিছু টিপস দেওয়া হলো:
Contents
১. সঠিক আকার বেছে নিন
- সঠিক আকারের পেন্টি পরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পেন্টি খুব টাইট বা খুব ঢিলা হলে তা অস্বস্তি ও স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। মাপ অনুযায়ী ফিটিং পেন্টি কিনুন যাতে স্বস্তিদায়ক হয় এবং ত্বকের ওপর চাপ না ফেলে।
২. আরামদায়ক কাপড় নির্বাচন করুন
- কাপড়ের ক্ষেত্রে তুলা (কটন) উপাদানের পেন্টি বেছে নেয়া উচিত, কারণ এটি ত্বক শ্বাস নিতে সাহায্য করে এবং ঘাম শোষণ করে। সিনথেটিক কাপড় ত্বকের জন্য সব সময় আরামদায়ক নয় এবং এতে ত্বকে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি।
৩. নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন
- পেন্টি প্রতিদিন পরিষ্কার রাখার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন অন্তর্বাস পরিবর্তন করুন এবং ব্যবহারের পর পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিন। এই অভ্যাস ত্বকের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে।
৪. ঘুমানোর সময় আলাদা পেন্টি বা না পরা
- ঘুমানোর সময় আরামদায়ক ঢিলেঢালা পোশাক পরা উচিত এবং কিছু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ঘুমানোর সময় পেন্টি না পরাই ভালো। এটি ত্বককে বিশ্রাম নিতে সাহায্য করে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।
৫. পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত যত্ন
- পিরিয়ডের সময় আরামদায়ক ও ফিটিং পেন্টি পরা জরুরি, যাতে প্যাড বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস ভালোভাবে স্থির থাকে। এ সময় বেশি হালকা রঙের পেন্টি এড়িয়ে চলা ভালো।
৬. ওয়ার্কআউটের জন্য আলাদা অন্তর্বাস
- ব্যায়াম বা খেলাধুলার সময় আরামদায়ক এবং ওয়ার্কআউটের উপযোগী পেন্টি পরা উচিত। এ সময় ময়েশ্চার-উইকিং ফ্যাব্রিক পেন্টি পরলে ত্বক আরাম পায় এবং ঘাম কম হয়।
৭. সময়ে সময়ে পুরানো পেন্টি পরিবর্তন করুন
- অন্তর্বাস দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার না করাই ভালো। নিয়মিত নতুন পেন্টি কিনুন এবং পুরানোগুলো ফেলে দিন, বিশেষ করে যদি সেগুলোতে ফিটিং সমস্যা বা কাপড়ের গুণগত মান নষ্ট হয়।
এগুলো সাধারণ কিছু নিয়ম যা মেয়েদের জন্য আরামদায়ক এবং স্বাস্থ্যসম্মত অন্তর্বাস পরার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।